প্রকাশিত: ০৫/০৩/২০১৮ ৭:৫৩ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:৫০ এএম

নয়া দিগন্ত::

ফেনী শহরের নাজির রোডের একটি বাসায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ৯ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে ইমরান হোসেন রিপু নামের এক ছাত্রলীগ নেতা। রিপু সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলা দায়েরের পর থেকে অব্যাহত হুমকির মুখে রয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।

মামলার এজাহার ও নির্যাতিতার পরিবার সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে শহরের সুলতানপুর এলাকার মৃত জালাল উদ্দিনের মেয়ের সাথে ডোমরা এলাকায় এক প্রবাসীর বিয়ে হয়। স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাধে বেশ কয়েক মাস যাবত প্রতিবেশী ওই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন রিপু তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত।

একপর্যায়ে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে প্রত্যাখ্যান করে। পরবর্তীতে ১৫ ফেব্রুয়ারি শ্বশুর-শাশুড়িসহ শহরে এলে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা রিপু ও তার সহযোগী একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে তারেক তাকে বড় মসজিদসংলগ্ন স্থান থেকে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে জোর করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে তাকে শহরের নাজির রোড এলাকার ওবায়দুল হক ম্যানশনের পঞ্চম তলার একটি বাসায় আটকে রাখে। সেখানে ৯দিন ধরে পাশবিক নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে নির্যাতিতার মাকে কৌশলে খবর দিয়ে রিপু ও তারেক পালিয়ে যায়।

২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে পরিবারের সদস্যরা নির্যাতিতাকে ওই বাসা থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার পক্ষ থেকে ফেনী মডেল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি বলে নির্যাতিতার অভিযোগ। তারা জানান, মামলাটি তুলে নিতে রিপু নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।

সূত্র জানায়, গতকাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান খান আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারকে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদি পক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন অ্যাডভোকেট জাহিদ হোসেন খসরু ও অ্যাডভোকেট ফজলুল হক ছোটন।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন রিপুর বক্তব্য জানতে গতকাল সন্ধ্যায় একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ হয়নি।

যৌনকর্মী ও খদ্দেরসহ ৯ জনকে কারাদণ্ড
গাজীপুর সংবাদদাতা

গাজীপুরের শালবনে এক আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তরুণী, পতিতা ও খদ্দেরসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত গত শনিবার রাতে আটকদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত এ সময় হোটেলটি তালাবদ্ধ করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

গাজীপুরের এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বি এম কুদরত-এ-খুদা জানান, গাজীপুর সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর এলাকার শালবনে বন্ধু আবাসিক হোটেলে গত শনিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালায় জেলার ভ্রাম্যমাণ আদালত। গাজীপুরের এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বি এম কুদরত-এ-খুদা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: রাসেল মিয়া ও মো: জুবের আলম শনিবার সন্ধ্যায় ব্যাটালিয়ন আনসার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে ওই হোটেল থেকে সাতজন পতিতা ও তরুণী ও দুই পুরুষ দালাল খদ্দেরসহ মোট ৯ জনকে আটক করা হয়।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে আটককৃতদের হাজির করা হয়। আদালত এ সময় সরকারি আদেশ অমান্য করে অসামাজিক ও অশ্লীল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে গণউপদ্রব সৃষ্টি করার অপরাধে আটককৃত ৮ জনের প্রত্যেককে সতদিন করে ও এক নারীকে একদিন বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠান। অভিযানের খবর পেয়ে হোটেলের অন্য কর্মচারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

পাঠকের মতামত

বদির কাছে হারলেন স্ত্রী

কক্সবাজার ৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সংসদ সদস্য শাহিন আক্তারকে ৩ ভোটে পরাজিত করে উখিয়ার মরিচ্যা পালং ...